আতিক ফারুক

লেখক

Atik Faruk's Portrait

পরিষেবা

যেভাবে সাহায্য করতে পারি

বই নিয়ে লেখা

নতুন বা পুরোনো বই নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমি গবেষণামূলক প্রবন্ধ বা বইয়ের সারাংশ লিখে দিই , যেটা মূলত প্রকাশক বা লেখকের বইয়ের আগ্রহ বাড়িয়ে তোলতে পারে পাঠকের কাছে বা যারা বইপড়ুয়া।

প্রুফরিডিং

আমি মূলধারা বাংলা সাহিত্যের যেকোনো বইয়ের সম্পাদনা বা প্রুফরিডিংয়ের পরিষেবা দিই। লেখার মান, ব্যাকরণগত বিন্যাস, বানান বিভ্রাটসহ লেখার দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরি লেখকের কাছে।

বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট

ব্যবসায়িক যেকোনো কাজ বা ব্র্যান্ডপ্রমোশনের জন্য আকর্ষণীয় এবং টার্গেটেড কাস্টমারদের প্রভাবিত করে এমন বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট নিয়ে আমি কাজ করি।

ভিসা কনসালটেন্সি

ইউরোপ, আমেরিকা বা কানাডায় পড়াশোনা, ভ্রমণ, বিজনেস বা কাজের ভিসায় বিদেশগামীদের পরামর্শ, যথাযথ পরিকল্পনা এবং স্বল্পটাকায় বিদেশভ্রমণের স্বপ্ন-কে বাস্তবে রূপান্তরিত করবার লক্ষ্যে ট্র্যাকওয়ের চিফ হিসেবে কাজ করছি।

বইসমুহ

আমার যত বই

একটা রঙিন খামে আমাদের কাশবন
১ জুন ২০২৩

একটা রঙিন খামে আমাদের কাশবন

প্রথাগত গল্পের বাইরে এ এক অবিন্যস্ত গদ্যশৈলী, উত্তমপুরুষের আদলে গড়ে উঠেছে... যদিও নানাবিধ রীতিনীতির কথা বলা হয়—তবু নিজের বলার ভঙ্গিমায় স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের রূপরেখা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠক কিভাবে গ্রহণ করবে তা তার পাঠ সীমাবদ্ধতা নির্ণয় করবে। কোনোকিছুই সর্বাঙ্গীণ উন্নতি হতে পারে না। আমার মনোগত বিভ্রম এক অলৌকিক শহর—ডেড সি বা ব্যবিলনের বিলুপ্ত উদ্যান।

পৃথিবীর সবচেয়ে বিপর্যয়—ঘনায়মান বিপর্যস্ততার মাঝেও মানুষের এই বেঁচে থাকার লড়াই, টিকের থাকার লড়াই উদ্ভাবিত ভাবনার সীমানা পেরিয়ে বহুদূর ছুটে চলে।

পরিগ্রহ এবং নিগ্রহ প্রতিবন্ধকতা—বাঁচা এবং বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নেই যেখানে, সেখানে এত এত গরিমা নিতান্তই বাস্তব উপলব্ধির বিপরীত সম্ভাবনার কথা বলে।

এখানের গল্পগুলো কিরকম, মানোন্নয়নের বিবেচনায় তা কতটুকু উত্তীর্ণ—তা পাঠকের দায়িত্ব। মননশীল চিন্তার জায়গা থেকে লিখে গিয়েছি—ফলত ক্ষেত্রবিশেষে পাঠকের বুঝতে পারা বা না পারা নিয়ে আমার কোনো দ্বিধা নেই। একটা সর্বাঙ্গীণ গল্পের কি কি বৈশিষ্ট্য, কি কি উপকরণ না হলে সেটা গল্প না হয়ে গদ্য হয়ে ওঠে বা আদতে কিছুই হয়ে ওঠে না—তা ভাববার অবকাশ আমার নেই। গল্পের শুরু, শেষ বা অভ্যন্তরের অবকাঠামোগত বর্ণনাশৈলীই মূলত গল্পের রসদ। চিন্তাগত বৈপরীত্য না হলে নূতনতর উদ্ভাবন তৈরি হয় না। ভিন্ন ভিন্ন ভাবনার ফলেই ভিন্ন ভিন্ন সৃষ্টি।

পাঠক, চলুন আমরা দূর দেশে হারিয়ে যাই—নাগিব মাহফুজের বেড়ে ওঠা শৈশব, কায়রোর গলিঘুঁজি মোড় থেকে বহুদূর গ্রাম, নীলনদের আল আকালেতা। মেহেরুন নেসার অতীত, আমার হারিয়ে ফেলা স্মৃতির দিন।


প্রচ্ছদ: নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
জনরা: গল্প
পৃষ্ঠা: ১১২

বিস্তারিত জানুন
কতিপয় বৃহস্পতির দিনলিপি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

কতিপয় বৃহস্পতির দিনলিপি

দৈনন্দিনের লিপিগুলো সংকলিত হয়ে ‘কতিপয় বৃহস্পতির দিনলিপি’ হয়ে ওঠেছে। তার মানে প্রতিদিনকারই খসড়া নয় শুধু, একই বৃত্তের মতো, ঘুরেফিরে প্রতিদিনের কথাই নয়—দিনলিপি, ডায়েরি, রোজনামচা, দিনপঞ্জিকা, জার্নাল, কতভাবে বলা যায় এই লেখাগুলো-কে। যার ভাববার সীমাবদ্ধতা প্রক্রিয়াগত অনুশীলনের দিকে ধাবিত হয়—তাকে বারংবার বলার প্রয়োজন নেই শিল্পের বিস্তৃত পথের কত বাঁক!

যখন যা উপলব্ধি হয়েছে—তাই লিখেছি ডায়েরির পৃষ্ঠায়, যেন এ ছাড়া আমার মনের অবসাদ বা উচ্ছল সময়ের কথা কেউ শোনতে পায় না, একমাত্র ছলহীন বিমোহিত শ্রোতা এ।

খানিক এভাবেও বলা যায়—

আজ বিষ্যুদবার বা বৃহস্পতিবার। যেমন আমার ‘কতিপয় বৃহস্পতির দিনলিপি’-কে ‘কতিপয় বিষ্যুদবারের দিনলিপি’ও বলা যায়। তবু সেই একই বিষণ্ণতা থির দাঁড়িয়ে থাকে মাদরাসার বারান্দায়। পাঁচকলি টুপির সেলাই খুলে যাওয়ার মতোই বিষণ্ণ সেই দিন বা জুব্বার বুকপকেটে কলমের নিব ফেটে লেপ্টে যাওয়া কালির মতো দুরূহ কান্না।

দিনলিপির পৃষ্ঠাগুলো আদতে নিজের সাথে বলা কথা—মুঠোফোনের সংলাপ, শেষ বিকেলে মন খারাপের মতো আরও যা আছে অসুস্থ দিনের উৎসব। নাপা ট্যাবলেট, প্লাস্টিক গ্লাসে পাউরুটি ভিজিয়ে খাওয়া দুপুর, বাকরখানি সন্ধ্যা।

বইটি প্রকাশ করেছে পুনরায় প্রকাশন। রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে পাওয়া যাচ্ছে।
প্রচ্ছদ: নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
গায়ের মূল্য: ২০০৳
পৃষ্ঠা: ১২৮  
ধরণ: দিনলিপি

বিস্তারিত জানুন
যেকোনো স্মৃতির পাশে
১ জুন ২০২২

যেকোনো স্মৃতির পাশে

যেকোনো স্মৃতির পাশে আমার পঞ্চম গদ্যের বই। এইসব গদ্যের সামগ্রীর উপাদান মূলত কি—এর অন্তর্নিহিত উপমার বৈশিষ্ট্যই বা কি, সেই গোলকধাঁধায় জড়াতে চাই না। শিল্পের নানান শাখাপ্রশাখা, ডালপালা রয়েছে। শুধু আলোচ্য বিষয়াবলীই নয়। জানতে হলে পড়ার বিকল্প নেই। সচেতন পাঠক বলতেই জানার কথা—আমার গদ্যের মাপকাঠি কি!

বইটি প্রকাশ করেছে দারুল ইলম প্রকাশনী। রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপগুলোতে পাওয়া যাবে।

প্রচ্ছদ: ফয়সাল মাহমুদ
পৃষ্ঠা: ৪৮
ধরন: গদ্য
গায়ের মূল্য: ১২০

বিস্তারিত জানুন
মেহেরুন, প্রিয়তম ফুল
১০ অক্টোবর ২০২১

মেহেরুন, প্রিয়তম ফুল

মেহেরুন, প্রিয়তম ফুল-কে কিভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়—কোন বিশেষণে অভিহিত করা হলে এই ‘প্রিয়তম ফুল’ হয়ে উঠতে পারে আরও প্রিয়, আরও কাছে—একদম চিবুকের নিকটবর্তী। আমি বলতে পারছি না৷ মেহেরুন যে কোনো নির্দিষ্ট নারী নয় বা আমার জীবনে এমন কোনো নারী বাস্তবিকভাবেই এসেছিল কি না, সে প্রসঙ্গ অবান্তর। যেন অলক্ত পায়ে হেঁটে যাওয়া নববধূর মতো কিছুটা সংকোচে পড়ে গেছি আমি। সেজন্যই বলেছি—

‘মেহেরুন নেসা কোনো নির্দিষ্ট নারীর নাম নয়। আমার প্রতিজন নতুন প্রেমিকার নাম-ই মেহেরুন। কিন্তু, আমি যাকে এই অব্দি প্রিয়তম মেহেরুন জেনে এসেছি—সে আমার হয়নি, হয়েছে রৌদ্রদগ্ধ দুপুরবেলার৷ হয়েছে সন্ধ্যার বিবর্ণ আকাশের। এক এক করে কত বেলা গড়িয়ে গেল—কাঙ্ক্ষিত ফুল আর ফুটে এলো না। যেন আমার মনের ভেতর তুমুল অসুখ জড়িয়ে আছে। পৃথিবীতে যে যা চেয়েছে—তা-ই পেয়েছে, শুধু আমি পাইনি। কেননা, আমার মন চড়ুই পাখির মতো চিঁচিঁ শব্দ করে উড়ে বেড়ায় এখান থেকে ওখানে, ওখান থেকে এখানে।

একদিন, কতক সম্ভাব্য সহজতম উপায়ে খুব চেয়েছিলাম, তুমি আমার হও—আমি তোমার হই। অথচ, সবকিছু বদলে গেল। কি থেকে কি হয়ে গেল, আমার জানা নেই। কারণ, সমাজ বিবর্তনের প্রবর্তক আমি তো নই—মূর্খপাণ্ডারা। সবকিছু নিজের মতো হয় না—অদৃশ্য মিথের মতো চেপে যায়, যা ভেবে বসে থাকি একা। যদিও আমার একটা পথ ছিল—আমার একটা ভাবনার জগত ছিল—আজ আর কিছুই নেই। প্রসূত বৃক্ষের মতো পরিবর্ধিত আমার মন। যেখানে কোনোকিছুরই স্থায়িত্ব নেই, সেখানে মনের কি কথা’।

আবার যখন খুব আনমনা বসে থাকি—তখন এভাবে লিখে রাখি:

‘এক গভীর অভিনিবেশে চেয়ে আছি দুপুরের উদাসীন হাওয়ায়, মনের ভেলায় ভাসমান তারাপথ। সে আমার প্রতিবেশী হয়ে গেছে বহুদিন, একটি সোনালি আলোক রেখা প্রতিদিন পুবের সূর্য আমার জানলা ছুঁয়ে যায়। তখন তাহার কথা মনে পড়ে। তথাপি, সেই যে ভেঙেচুরে গেল জীবন—তা আর ফিরে আসে না, পুরোটা সময় কেবল অনিঃশেষ অন্ধকারে প’ড়ে থাকি, নির্মোহ মগ্নতার খাদজুড়ে অথইজল’।

এই বইয়ে সংকলিত আঠরোটি গদ্য—প্রতিটির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য খুঁজতে গেলে পাঠক আশাহত হতে পারেন—কেননা, প্রতিটি গদ্যেই জীবনবোধ, আদর্শিক জীবন-যাপনের রূপরেখা, প্রেমিকার চুলের ঘ্রাণ, ব্যর্থ প্রেমিকের দুঃখবোধ, বাদল দিনের তুমুল স্মৃতিকাতরতা। অথবা, মেহেরুন নেসা-কে হারিয়ে আবারও খুঁজে পাওয়া। এইসব বিভেদ সংজ্ঞা আর উপসংহারের মধ্য দিয়েই ‘মেহেরুন, প্রিয়তম ফুল’ এর অভিযাত্রা। আমার অন্যান্য গদ্যের চেয়ে এখানের গদ্যগুলো নিঃসন্দেহে মনোরম। এ আমাকে বেশ আনন্দ দিয়েছে।

বইটি প্রকাশ করছে ‘চন্দ্রবিন্দু’ প্রকাশন।

বিস্তারিত জানুন
সব বই দেখুন

লেখালেখি

সদ্য প্রকাশিত লেখা

সব লেখা দেখুন
যেভাবে কবি হবেন

যেভাবে কবি হবেন

গল্প | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আপনার লেখা আমার খুব ভালো লাগে আতিক ভাই। আমি যে আপনার কত বড় ভক্ত, আমি নিজেও জানি না। আমি খুব কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম। আমার কোন বইটি পড়েছেন? সে আমতা-আমতা করে বলল, এখনো পড়া হয় নাই ভাই। তবে আপনার নাম শুনেছি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে। শুনেছি আপনি খুব ভালো লেখেন, আপনার ‘মেহেরুন, প্রিয়তম ফুল’ বইটা কোথায় যেন দেখেছিলাম—কিন্তু টাকার অভাবে কিনতে পারি নাই। আপনি হাদিয়া দিলে পড়ে দেখতাম আরকি। আমি ওর দিকে তাকিয়ে বললাম, আমার লেখা সবার জন্য না। সবাই আমার লেখার ধরণ বুঝতে পারে না, বা সবার জন্য লিখিও না। সে বলল, সমস্যা নাই ভাই, আমি বুঝব, আমার দাদাও লেখালেখি করতো, লেখালেখি আমার রক্তে মিশে আছে। আমি বললাম, আচ্ছা একদিন আমার খানকায় চলে আইসেন। আপনাকে বইটা উপহার দিব।

২.

এক শুক্রবার বিকেলে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বেরিয়ে দেখি সেই ছেলেটা—আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কীভাবে এলেন? সে বলল—ভাই, ভক্ত তার পীরের কাছে পৌঁছাতে আর কী লাগে? আমি আপনারে মন থেকে ভালোবাসি। আমার আবেগ আপনার কাছে নিয়ে এসেছে, আমি বললাম খুব ভালো। আমার ছোট্ট একটা রুম তখন, বইয়ে গাদাগাদি, কোনোমতো ছোটো একটা খাট বিছানো। ওকে রুমে নিয়ে গেলাম, সে রুমে ঢুকেই হুলুস্থুল কাণ্ড, ভাই—আপনি আমার গুরু, আমার শিক্ষক আপনি, আমারে আপনি উদ্ধার করেন, আমি আপনার পায়ে ধরি বলেই আমার দু-পা শক্ত করে ধরে ফেলল ও। আমি ভয়ই পেয়ে গেলাম হঠাৎ। আমিও আপনার মতো লেখক হতে চাই গুরু, আমার উপর দয়া করেন। আমারে আপনি লেখক বানায়ে দেন, আমার খুব শখ লেখক হওয়ার। আমি হতচকিত হয়ে পড়লাম, কী অবাক কাণ্ড! আমি ওকে ভালোভাবে বোঝালাম যে, দেখো ভাই, এভাবে হঠাৎ করে লেখক হয়ে ওঠা যায় না। সে বলল, আমি হব ভাই। আমি একটা কবিতার পাণ্ডুলিপি গুছিয়েছি—আপনার দয়া পেলে আগামী বইমেলায় সেটা বই আকারে প্রকাশ করব৷ আমি বললাম, আচ্ছা—তা করা যাবে, কিন্তু তার আগে আমাকে দেখিয়েন পাণ্ডুলিপিটা। সে বলল, গুরুরে না দেখিয়ে মরে গেলেও বই করব না। গুরুর দয়া না নিলে আল্লাহ নারাজ হবে।

আমার বুকশেলফভর্তি বই দেখে ও কয়েকটা বই পড়ার জন্য নিয়ে যেতে চাইল, আমিও অন্য সবার মতো ওকে আমার বাছাই করা বইগুলো থেকে কয়েকটা বইসহ আমার লিখিত চারটা বই দিলাম। দেয়ার সময় বলেছিলাম আমার বইগুলো শুধু উপহার, বাকিগুলো পড়া শেষ হলে যেন অবশ্যই আমাকে ফেরত দিয়ে যায়। যাবার সময় আমার সাথে ফেসবুকেও যুক্ত হয়ে নিল ও।

কিছুদিন পর দেখি আমার থেকে নেয়া সবগুলো বই একসাথে ছবি তুলে পোস্ট করেছে, ক্যাপশনে লিখেছে: শ্রদ্ধেয় গুরু, প্রিয় লেখক আতিক ফারুকের পক্ষ থেকে পাওয়া উপহার। কী আশ্চর্য! আমি খুবই অবাক হলাম—আরে মগা, আমি তো সবগুলো বই তোকে দিইনি, আমি শুধু আমার লিখিত বইগুলো তোকে উপহার দিয়েছিলাম। সেদিনের মতো কিছুই বলিনি আর।

দুয়েকমাস পরই বইমেলার ফলে আমার সম্পাদিত লিটলম্যাগ বেয়ারিঙের কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম সেবার। লেখা সংগ্রহ করা, সম্পাদনা, প্রুফ, এসব নিয়ে একটু দৌঁড়ঝাপ সময় কাটছিল। ফেসবুকে বেয়ারিঙের নতুন প্রচ্ছদ প্রকাশ করার সাথে সাথেই  ও আমাকে ম্যাসেজ দিল, বলল, গুরু—আমিও লিখতে চাই বেয়ারিঙে। আমি বললাম এখানে নতুন লেখকদের লেখা খুব কম নেয়া হয়, লেখার মান এখনো আপনার তেমন না। আপনি লিখতে থাকুন, একটা সময়ে আমিই চেয়ে নিব। কিন্তু খুব অনুনয় করার ফলে আমি বললাম, ঠিকাছে মেইলে দিন, কী লিখেছেন দেখি। একি! এতো আমারই লেখা। বুনোফুলের দিন থেকে কাটাছেঁড়া করা লাইন। আমার রাগ, দুঃখ তো হলোই, কিন্তু হাসিও পেল খুব। এবারও কিছু না বলে ওকে পাশ কাটিয়ে গেলাম।

৩.

সামনে বইমেলা। দুয়েক সপ্তাহ বাকি এখনও। হঠাৎ দেখি ও ওর নতুন বইয়ের প্রচ্ছদ ছেড়েছে, ক্যাপশন দিয়েছে—‘গুরু আতিক ফারুক’কে উৎসর্গ করলাম এই বই, অমুক নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে, আমিও থাকব অমুক দিন, আমার পাঠকেরা আসেন, দেখা হবে, আমার অটোগ্রাফও পাবেন বই কিনলে’।নিজের প্রতি এত রাগ হলো যে—ভাবলাম ও আমার কাছ থেকেই হয়তো আশকারা পেয়েছে, কাকে এত করে বোঝালাম,  শিল্প-সাহিত্যের এত জ্ঞান কাকে দিলাম! খুব মন খারাপ হলো।

৪.

বইমেলা শুরু হলো। ওর বইটাও ছেপে এসেছে। ভাবলাম একটু উলটেপালটে দেখি কী লিখেছে ও—সেই প্রকাশনীতে গিয়ে বইটার খোঁজ করলাম, একি! বই নেই স্টলে, একটু দূরে চোখ পড়তেই দেখি ও আড়াল হয়ে আছে, আমাকে দেখে যেই ছেলের দৌড়ে আসার কথা, সে আমাকে দেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে কেন?

কিছুদিন পর কোনোভাবে বইটা আমার হাতে আসে৷ খুলে দেখি এলাহি কাণ্ড! আমার বড়োদের থেকে শুরু করে অনেক পরিচিত কবিবন্ধুদের একটা করে কবিতা উৎসর্গ করা! চৌত্রিশটা কবিতা চৌত্রিশজন-কে। এবং সবগুলো কবিতাই কারো না কারো কবিতা থেকে কাটাছেঁড়া করা লাইন। মনে মনে বললাম, বা...বা...বা... কেয়া সিন হেঁ!

৫.

শুধু বই প্রকাশই নয়। কিছুদিন পর এক বড়োভাই কল দিয়ে বলল, আতিক! অমুক ছেলেটাকে চেনো? তোমার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক আছে বলল। নাম জানতে চেয়ে বিস্মিত হলাম, সেই ছেলেটাই! আমি বড়োভাইকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই কী সমস্যা বলুন!—কী চায় ও? ভাই বলল ও টাকা ধার চাচ্ছে। আমি সোজা কথায় বললাম, কোনোভাবেই ওকে টাকা-পয়সা দিবেন না ভাই! ভাই নরম স্বভাবের মানুষ, না করতে পারেনি, শেষে পাঁচশো টাকা দিল ওকে। আমি আনফ্রেন্ড করে নাম্বারও ব্লক করে দিলাম যেন আমার সাথে আর কোনো যোগাযোগ করতে না পারে। এই ছেলে বিপদজনক আমার জন্য।

কয়েক মাস চলে গেল। একদিন হঠাৎ অচেনা নাম্বার থেকে কল এল—রিসিভ করে শুনি ওর কণ্ঠ, কাঁদছে, জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম—ফেসবুকে কোনো একটা মেয়ের সঙ্গে প্রেম হয়েছিল তার, ফেনীর দাগনভূঞা দেখা করতে গিয়েছিল—কয়েকজন ছেলেপেলে ওকে ধরে মারধর করে টাকাপয়সা যা ছিল সব নিয়ে গিয়েছে, ঢাকায় ফেরারও টাকা নাই, কোনো দোকানের নাম্বার থেকে কল করেছে। কি আর করার! আমি কিছু টাকা পাঠালাম।

পরের বছর বইমেলায়ও দেখা গেল তার আরেকটা বই বেরোল, আমার পরিচিত এক বন্ধু প্রচ্ছদ পাঠাল বইটার। এখন প্রতিবছর মেলায় তার কবিতার বই বের হয়। সে এখন অনেক বড় কবি, যৌথকাব্যগ্রন্থও বের হয় তার অনেক লেখকদের সঙ্গে। নিজের প্রতি ধিক্কার জানাই আমি প্রায়সময়—কী করলাম এতবছর সাহিত্য করে, এতগুলো বই লিখে, একটাও কবিতার বই করতে পারলাম না। হায় আফসোস!

পুরোটা পড়ুন
দূর জীবনের এ কেমন পরাভূত হাওয়া

দূর জীবনের এ কেমন পরাভূত হাওয়া

গদ্য | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

যেকোনো প্রস্থানই অনন্ত বেদনার ছায়া ফেলে চলে যায়। কলকাতা বইমেলার পর্দা নেমে গেল আজ, কী অবাক শীত-শীত আচ্ছন্নতা চারদিকে—কতজন, কত মানুষের সঙ্গে বন্ধুতা হলো। কী হবে? এই হতচ্ছাড়া ছোট্ট পাথরটাকে কতজনই তো ছেড়ে গেছে। একাকি নিছানো অন্ধকারে মুখ থুবড়ে কতদিন কেঁদেছে সে। খুব ক্লিশে যন্ত্রণা। তবু এই চেনা-চেনা মানুষগুলো আমার হৃদয়ে একটা মীনরঙ্গ পাখি হয়ে বহুদিন বেঁচে থাকবে।

মানুষের কাছাকাছি না গেলে কখনোই মানুষকে আবিষ্কার করা যায় না। আমি সবার সঙ্গেই কথা বলি—অনেককিছু শেখা যায়, কৌতূহলী না হলে কখনোই ভিন্নতর সৃষ্টির গতিপথ তৈরি হয় না। আমি কলকাতার প্রায় দু’মাস যাপনের দিনগুলোতে প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখেছি, কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো দীঘির পাড়ে পাতানো বেঞ্চে বসে, প্রায় দেখেছি একটা অন্ধ লোকের সঙ্গী একটা নিরীহ কুকুর, যে তাকে পথ দেখায়, বন্ধুর মতোই আগলে রাখে।

We live in a wonderful world that is full of beauty, charm and adventure. There is no end to the adventures we can have if only we seek them with our eyes open.

–Jawaharlal Nehru

আমি এক নতুন পৃথিবী-কে দেখতে চেয়েছি। চোখ-কান খুলে তাকানো নয়, মনের দুয়ার খুলে, শিরধার উঁচু করে তাকাতে চেয়েছি চারপাশে—পাহাড়, সমুদ্র বা আকাশের পাটাতন থেকে খুবলে নিতে চেয়েছি মনের সমস্ত অশুভ দর্পণ।

কী হলো—রাস্তাপারাপারের সময় কার আঙুলের সাথে যেন আমার আঙুল ছুঁয়ে গেল—তার চোখের দিকে চোখ পড়তেই কী অদ্ভুত মায়া খসে পড়ল করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনে। আমি সেই দু'খানা আবেগ নিয়ে ফিরে এলাম।

দীপ শেখর চক্রবর্তী, আমার প্রিয় দীপ’দা। মুন্নী সেন, শুভদীপ নায়ক আর শিপ্রা মালাকার, শেষ সময়ের সান্নিধ্য আমাকে এত আনন্দ দিয়েছে আজ। ফেরার পথে শুধু মনে পড়েছে খানিক আগেই তো কিছু একটা ছিল, এখন একেবারেই সুনসান নীরবতা।

তবু যদি—আবারও দেখা হয়ে যায়, কোনোকোনো খেয়ারি সন্ধ্যায়। জীবনের জলপ্রপাত কেবলই নিজেকে জানার। সবকিছু অতিক্রম করে নিজেকে ভালোবাসো, নিজেকে জানো প্রিয়তম বন্ধু, কোনো ভয় নেই, কোনো সঙ্কোচ নেই।

২.

কী হলো—পৃথিবী থমকে দাঁড়িয়েছে না তোমার হস্তরেখায় কে যেন বলেছিল একটা শিশুজন্মের মতো অকথ্য বেদনাবহ সময় তোমারও আসবে। ঠিক তা নয়, হয়তো আমিই আমাকে বলেছিলাম ঘোর স্বপ্নে, এক অজানা বিন্দুবৃত্তের ভেতর। জরাজীর্ণ, লক্ষ্যচ্যুত, অনুতাপ, বেদনা, ক্রমাগত বিচ্ছিন্নতা, বিমর্ষ, কলহ, জঞ্জাল আর এত এত হইহুল্লোড় কখনোই আমি চাইনি।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কি অপলক দৃষ্টি—আমিই আমাকে দেখতে পাচ্ছি, ঠিক ভেতর-বাইরের অবক্ষিপ্ত নীরবতা যেন। কতদিন নিজের সঙ্গে কথা হয় না। তুমিও দেখো, নিজেকে, ভাবো—কেমন আছো? এদিকটায় খুব শৈত্যপ্রবাহ আজ, তুমি ঘুমিয়ে পড়ো, আয়নার নির্জনতার চেয়ে আর কোনো বিভোর শ্রোতা নেই।

৩.

বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে এলেও মন প’ড়ে থাকে মোহাম্মদপুরের গলি-ঘুপচিতে। ঢাকার তল্লাটে পাথরখচিত রাত ঘিরে চিররহস্যের ঘূর্ণনে সন্ধ্যার উপচে পড়া ভিড় ঠেলে যেন আমি দাঁড়িয়ে আছি ঠিক আসাদগেট মোড়ে। কিন্তু না, আমাকে এক্ষুণি বাসায় যেতে হবে। শান্তিপার্কের ছোট্ট বাসাটা গত দেড়মাস ধরে আমার আশ্রয়, সারাদিন কিছু না হলে লেপটেসেপটে শুয়ে থাকি, জানলার পাশে বসে বই পড়ি, ছোট্ট জানালা খুলে আকাশের দিকে চেয়ে থাকি, কী বিস্ময় লাগে! কী অদ্ভুত এ আকাশ!

কলকাতায় আসার পরদিন থেকে দুর্দান্ত কিছু বই সংগ্রহ করেছি। কলেজস্ট্রিট গেলে খালি হাতে আর ফেরা হয় না। সেই পুরোনো অভ্যেস মস্তিষ্কে ঠেসে গেছে। সেদিন কলকাতা বইমেলায় দীপ’দা, মানে প্রিয় দীপ শেখর চক্রবর্তী’র সঙ্গে এতটা দারুণ সময় কাটিয়েছি। গত দেড় মাসের সবচেয়ে ভালো দিন ছিল আমার জন্যে। তারপর থেকে আজও অব্দি রুম থেকে বেরোয়নি আর, বাইরের এইসব হট্টগোল আমার ভালো লাগে না। যদিও আমাদের কলোনিতে কি যেন অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য আছে—মানুষের নরম ভাষা, হলুদ আলোর করতালি আর একাকি বিষণ্ণ মানুষের নির্জীব কান্না।

দূর জীবনের এ কেমন পরাভূত হাওয়া! বলো।

পুরোটা পড়ুন
শিথানে গদ্যের অপূর্ব ব্যঞ্জনা

শিথানে গদ্যের অপূর্ব ব্যঞ্জনা

গদ্য | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শতাব্দীর স্মৃতিচিহ্ন কখনো এরকম এক ঘোরলাগা সময়ের সাথে ছায়াচ্ছন্ন সবুজ অথচ বিবর্ণ দেয়ালঘেঁষা কলকাতার মুখর গলিগুলো আমাকে আবিষ্ট করে রেখেছে। সেই কবে এসেছি, এখনো বেরোয়নি সেভাবে। লিটলম্যাগাজিন মেলায় খুব গোছানো আয়োজন দেখে মন ভালো তো হলো কিন্তু লিটলম্যাগ নিয়ে আমাদের বাংলা একাডেমির কঞ্জুসপনা আমাকে প্রতিবারই হতাশ করে।

ব্যক্তিগত স্বর, সংস্কৃতি, কবিতা আর ফেনিল বৈঠক সেরে কতিপয় কবিবন্ধুদের সঙ্গে আজকের মতো আলোচনা শেষ হলো। দেবারতি মিত্রের প্রয়াণ খুব গভীরভাবেই আমাকে আহত করেছে। কিছুদিন আগেই তার লেখার সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল।

২.

শান্তিপার্কের চারতলার ছোট্ট একটা রুমে আমি, আমার মামাতো ভাই গাদাগাদি করে আছি প্রায় মাসখানেক হলো। কয়েকদিন পেরিয়ে যায় আবদ্ধ রুমে, আমাদের রুমের ছোট্ট জানালা থেকেই আকাশের অবাক করা খণ্ডাংশ চোখে পড়ে, পাশের বিল্ডিংয়ের বেলকনি, ছাদে টানানো রশিতে ঝুলে থাকা নানান রঙের পোশাক, ছাদের কার্নিশে থরে থরে সাজিয়ে রাখা বৃক্ষচারার টব, তাহলে আমি বাইরে বেরিয়ে কোথায় যাব যদি জানালা খোললেই এত মুগ্ধতা ঘনিয়ে আসে।

৩.

একদল অসুস্থ শুয়োর ছড়িয়ে আছে আমার চারপাশে। যারা আমার পথ আটকাতে চায়—ওদের জুতোটপেটা করে বিতাড়িত করলাম আজ। ‘ক্ষতিকারক সবকিছুই বিতাড়িত করতে হবে জীবন থেকে’ এক বিদগ্ধ মনীষী একদা বলেছিল আমাকে।

৪.

এ কোন অশালীন শীত নেমে এলো সারা কলকাতায়—আমার হাত-পা জমে যাচ্ছে। হলুদ আলোয় একপাল অনুগামী তরুণদল তাদের বৃত্তের ভেতর হাঁটছে। অথচ আমার শিথানে গদ্যের অপূর্ব ব্যঞ্জনা।

পুরোটা পড়ুন
সব লেখা দেখুন

পরিচিতি

আমার পরিচয়

আমি আতিক ফারুক, একজন গল্পকার এবং লেখক, যিনি জীবনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিবরণে অর্থ খুঁজে পাই। একজন লেখক হিসেবে আমার যাত্রা চারপাশের পৃথিবীর গল্পগুলোর সাথে গভীরভাবে জড়িত, তা আমার উপন্যাস, ছোটগল্প বা ভ্রমণকাহিনী যাই হোক না কেন। আমি যা কিছু লিখি, তার প্রতিটি শব্দ আমার অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতির প্রতিফলন। আমি বিশ্বাস করি, গল্প বলা মানুষের মনকে সংযুক্ত করার, কল্পনা জাগানোর এবং দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর একটি শক্তিশালী মাধ্যম। লেখালেখির বাইরে, আমি ক্যামেরার লেন্স দিয়ে পৃথিবীকে আবিষ্কার করি, ক্ষণিকের মুহূর্তগুলোকে ধরে রাখি যা আমার সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করে। আমার লক্ষ্য হল এমন গল্পগুলো বলা, যা পড়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে পাঠকের হৃদয়ে থেকে যাবে।

ট্র্যাকওয়ে শুধুমাত্র একটি যাত্রা নয়; এটি আবিষ্কারের প্রতিশ্রুতি, দূরবর্তী দিগন্তের ফিসফিসানিতে মোড়ানো। প্রতিটি ভ্রমণ পরিকল্পনায় ট্র্যাকওয়ে সাধারণকে অসাধারণে পরিণত করে, ভ্রমণকারীদের এমন সব ভূমিতে নিয়ে যায় যেখানে সময় ধীর হয়, আর প্রকৃতি তার বিস্ময়কর রঙে কথা বলে। সোনালি সমুদ্রতীর থেকে শুরু করে বিস্মৃত গ্রামের নিঃশব্দ মায়ায়, ট্র্যাকওয়ে নিশ্চিত করে যে প্রতিটি পথ একটি অজানা গল্পের দিকে নিয়ে যায়, যা ভ্রমণকারীর হৃদয়ে খুলে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকে।

প্রতিটি পরিকল্পনা যেন চলমান কবিতা, যেখানে প্রতিটি সূক্ষ্মতায় দুঃসাহসিকতার সুর বাজে। ট্র্যাকওয়ে শুধুমাত্র একটি সফর নয়, এটি অভিজ্ঞতার এক সিম্ফনি প্রদান করে, এমন মুহূর্ত তৈরি করে যা ভ্রমণের শেষে মনের গভীরে থেকে যায়। সামনের পথ শান্তিপূর্ণ অবকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঝলমল করে, কিন্তু ট্র্যাকওয়ে জানে যে আসল জাদু গন্তব্যে নয়, বরং যাত্রার মধ্যেই নিহিত—আপনি যাদের সাথে দেখা করেন, যেসব গল্প সংগ্রহ করেন, আর যাত্রাপথে যে স্মৃতিগুলো ফুটে ওঠে সেগুলোতেই ট্র্যাকওয়ের সত্যিকারের মহিমা।

আমার সম্পর্কে জানুন Atik Faruk's Portrait

সাক্ষ্য

আমার ক্লায়েন্টদের মতামত

মলয় দত্ত

মলয় দত্ত

ট্র্যাকওয়ের ট্রাভেল কনসালটেন্সির জন্য আমার ভ্রমণ ছিল নির্বিঘ্ন। আতিক আমার পছন্দ-অপছন্দ দেখেছে এবং সে অনুযায়ী ভ্রমনের নির্দেশনা দিয়েছে। তার অন্তর্দৃষ্টি এবং নির্ভ্রদেশনা ভ্রমণকে চাপমুক্ত এবং স্মরণীয় করে তুলেছে। আমি আমার ভবিষ্যতের ভ্রমণের জন্য ট্র্যাকওয়ের সেবা গ্রহণ করব।

এফাজ মোবারক

এফাজ মোবারক

আতিক আমার পান্ডুলিপিতে ব্যাকরণ থেকে শুরু করে বাক্যাংশ পর্যন্ত প্রতিটি ত্রুটি ধরেছে। তার সতর্কতার সাথে প্রুফরিডিং সত্যিই আমার লেখার মান উন্নত করেছে। আমি অবশ্যই ভবিষ্যতের লেখালেখি সংস্করণ আতিক ফারুকের সাহায্যেই করবো।

শিপ্রা মালাকর

শিপ্রা মালাকর

আমার একটি জটিল নন-ফিকশন বইয়ের সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ প্রয়োজন ছিল এবং আতিক ফারুকের কাজ আমার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। আতিক মূল ধারণাগুলিকে সহজে বোধগম্য বিন্যাসে পাতন করতে পেরেছে। এটি আমার অনেক সময় বাঁচিয়েছে, এবং তিনি বিষয়বস্তুতে যে স্বচ্ছতা এনেছেন তা চিত্তাকর্ষক ছিল।

মলয় দত্ত

মলয় দত্ত

ট্র্যাকওয়ের ট্রাভেল কনসালটেন্সির জন্য আমার ভ্রমণ ছিল নির্বিঘ্ন। আতিক আমার পছন্দ-অপছন্দ দেখেছে এবং সে অনুযায়ী ভ্রমনের নির্দেশনা দিয়েছে। তার অন্তর্দৃষ্টি এবং নির্ভ্রদেশনা ভ্রমণকে চাপমুক্ত এবং স্মরণীয় করে তুলেছে। আমি আমার ভবিষ্যতের ভ্রমণের জন্য ট্র্যাকওয়ের সেবা গ্রহণ করব।

এফাজ মোবারক

এফাজ মোবারক

আতিক আমার পান্ডুলিপিতে ব্যাকরণ থেকে শুরু করে বাক্যাংশ পর্যন্ত প্রতিটি ত্রুটি ধরেছে। তার সতর্কতার সাথে প্রুফরিডিং সত্যিই আমার লেখার মান উন্নত করেছে। আমি অবশ্যই ভবিষ্যতের লেখালেখি সংস্করণ আতিক ফারুকের সাহায্যেই করবো।

শিপ্রা মালাকর

শিপ্রা মালাকর

আমার একটি জটিল নন-ফিকশন বইয়ের সংক্ষিপ্ত সারসংক্ষেপ প্রয়োজন ছিল এবং আতিক ফারুকের কাজ আমার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। আতিক মূল ধারণাগুলিকে সহজে বোধগম্য বিন্যাসে পাতন করতে পেরেছে। এটি আমার অনেক সময় বাঁচিয়েছে, এবং তিনি বিষয়বস্তুতে যে স্বচ্ছতা এনেছেন তা চিত্তাকর্ষক ছিল।