১ জুন ২০২৩
একটা রঙিন খামে আমাদের কাশবন
প্রথাগত গল্পের বাইরে এ এক অবিন্যস্ত গদ্যশৈলী, উত্তমপুরুষের আদলে গড়ে উঠেছে... যদিও নানাবিধ রীতিনীতির কথা বলা হয়—তবু নিজের বলার ভঙ্গিমায় স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের রূপরেখা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। পাঠক কিভাবে গ্রহণ করবে তা তার পাঠ সীমাবদ্ধতা নির্ণয় করবে। কোনোকিছুই সর্বাঙ্গীণ উন্নতি হতে পারে না। আমার মনোগত বিভ্রম এক অলৌকিক শহর—ডেড সি বা ব্যবিলনের বিলুপ্ত উদ্যান।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিপর্যয়—ঘনায়মান বিপর্যস্ততার মাঝেও মানুষের এই বেঁচে থাকার লড়াই, টিকের থাকার লড়াই উদ্ভাবিত ভাবনার সীমানা পেরিয়ে বহুদূর ছুটে চলে।
পরিগ্রহ এবং নিগ্রহ প্রতিবন্ধকতা—বাঁচা এবং বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নেই যেখানে, সেখানে এত এত গরিমা নিতান্তই বাস্তব উপলব্ধির বিপরীত সম্ভাবনার কথা বলে।
এখানের গল্পগুলো কিরকম, মানোন্নয়নের বিবেচনায় তা কতটুকু উত্তীর্ণ—তা পাঠকের দায়িত্ব। মননশীল চিন্তার জায়গা থেকে লিখে গিয়েছি—ফলত ক্ষেত্রবিশেষে পাঠকের বুঝতে পারা বা না পারা নিয়ে আমার কোনো দ্বিধা নেই। একটা সর্বাঙ্গীণ গল্পের কি কি বৈশিষ্ট্য, কি কি উপকরণ না হলে সেটা গল্প না হয়ে গদ্য হয়ে ওঠে বা আদতে কিছুই হয়ে ওঠে না—তা ভাববার অবকাশ আমার নেই। গল্পের শুরু, শেষ বা অভ্যন্তরের অবকাঠামোগত বর্ণনাশৈলীই মূলত গল্পের রসদ। চিন্তাগত বৈপরীত্য না হলে নূতনতর উদ্ভাবন তৈরি হয় না। ভিন্ন ভিন্ন ভাবনার ফলেই ভিন্ন ভিন্ন সৃষ্টি।
পাঠক, চলুন আমরা দূর দেশে হারিয়ে যাই—নাগিব মাহফুজের বেড়ে ওঠা শৈশব, কায়রোর গলিঘুঁজি মোড় থেকে বহুদূর গ্রাম, নীলনদের আল আকালেতা। মেহেরুন নেসার অতীত, আমার হারিয়ে ফেলা স্মৃতির দিন।
প্রচ্ছদ: নির্ঝর নৈঃশব্দ্য
জনরা: গল্প
পৃষ্ঠা: ১১২