আতিক ফারুক

লেখক

পরিচিতি

Atik Faruk's Portrait
Atik Faruk's Portrait
Atik Faruk's Portrait

আমি আতিক ফারুক, একজন গল্পকার এবং লেখক, যিনি জীবনের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিবরণে অর্থ খুঁজে পাই। একজন লেখক হিসেবে আমার যাত্রা চারপাশের পৃথিবীর গল্পগুলোর সাথে গভীরভাবে জড়িত, তা আমার উপন্যাস, ছোটগল্প বা ভ্রমণকাহিনী যাই হোক না কেন। আমি যা কিছু লিখি, তার প্রতিটি শব্দ আমার অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতির প্রতিফলন। আমি বিশ্বাস করি, গল্প বলা মানুষের মনকে সংযুক্ত করার, কল্পনা জাগানোর এবং দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর একটি শক্তিশালী মাধ্যম। লেখালেখির বাইরে, আমি ক্যামেরার লেন্স দিয়ে পৃথিবীকে আবিষ্কার করি, ক্ষণিকের মুহূর্তগুলোকে ধরে রাখি যা আমার সৃজনশীলতাকে উজ্জীবিত করে। আমার লক্ষ্য হল এমন গল্পগুলো বলা, যা পড়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে পাঠকের হৃদয়ে থেকে যাবে।

পাঠকের প্রতি লেখকের বয়ান

প্রিয় পাঠক,

পাঠকের প্রতি লেখকের বয়ান বা পাঠকের উদ্দেশ্যে কিছু বলবার শৈলী কিরকম হতে হয়—তা আমার জানা নেই। আমার প্রতিটি শব্দ বা বাক্যের রহস্য উদঘাটন করার দায়িত্ব নিশ্চয়ই পাঠকের। আমার পরিচয় তো গদ্যের কালো হরফে, থমকে যাওয়া অনগ্রসর হেঁয়ালি গল্পের ভেতর বা গুরুত্বহীন কোনো রূপক চরিত্রের আদলে গড়ে ওঠা অন্ধ নাবিকের চোখে। যা-কিছু ভাবনার গহীন উপশিরায় তিড়বিড়ে চঞ্চলতা নির্মাণ করে—তাই যেন ফুটে ওঠে কিবোর্ডের শব্দে বা কাগজের পৃষ্ঠায়।

আতিক ফারুক

আমি এবং ট্র্যাকওয়ে

ট্র্যাকওয়ে শুধুমাত্র একটি যাত্রা নয়; এটি আবিষ্কারের প্রতিশ্রুতি, দূরবর্তী দিগন্তের ফিসফিসানিতে মোড়ানো। প্রতিটি ভ্রমণ পরিকল্পনায় ট্র্যাকওয়ে সাধারণকে অসাধারণে পরিণত করে, ভ্রমণকারীদের এমন সব ভূমিতে নিয়ে যায় যেখানে সময় ধীর হয়, আর প্রকৃতি তার বিস্ময়কর রঙে কথা বলে। সোনালি সমুদ্রতীর থেকে শুরু করে বিস্মৃত গ্রামের নিঃশব্দ মায়ায়, ট্র্যাকওয়ে নিশ্চিত করে যে প্রতিটি পথ একটি অজানা গল্পের দিকে নিয়ে যায়, যা ভ্রমণকারীর হৃদয়ে খুলে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকে।

প্রতিটি পরিকল্পনা যেন চলমান কবিতা, যেখানে প্রতিটি সূক্ষ্মতায় দুঃসাহসিকতার সুর বাজে। ট্র্যাকওয়ে শুধুমাত্র একটি সফর নয়, এটি অভিজ্ঞতার এক সিম্ফনি প্রদান করে, এমন মুহূর্ত তৈরি করে যা ভ্রমণের শেষে মনের গভীরে থেকে যায়। সামনের পথ শান্তিপূর্ণ অবকাশের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঝলমল করে, কিন্তু ট্র্যাকওয়ে জানে যে আসল জাদু গন্তব্যে নয়, বরং যাত্রার মধ্যেই নিহিত—আপনি যাদের সাথে দেখা করেন, যেসব গল্প সংগ্রহ করেন, আর যাত্রাপথে যে স্মৃতিগুলো ফুটে ওঠে সেগুলোতেই ট্র্যাকওয়ের সত্যিকারের মহিমা।